(Figure: Upper left: Activation of T cells requires that the T-cell receptor binds to structures on other immune cells recognized as ”non-self”. A protein functioning as a T-cell accelerator is also required for T cell activation. CTLA- 4 functions as a brake on T cells that inhibits the function of the accelerator. Lower left: Antibodies (green) against CTLA-4 block the function of the brake leading to activation of T cells and attack on cancer cells. Upper right: PD-1 is another T-cell brake that inhibits T-cell activation. Lower right: Antibodies against PD-1 inhibit the function of the brake leading to activation of T cells and highly efficient attack on cancer cells.)
মার্চ,
২০১৫
আমার
বন্ধু, অনুরাগের (নাম পরিবর্তিত) টি-সেল একিউট লিম্ফব্লাস্টিক লিম্ফোমা ধরা পড়ে,তখন থেকেই তার প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম চিকিৎসা শুরু হয় এবং এই প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সে
মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফল করে ।
ধীরে
ধীরে সে সুস্থ হতে থাকলো কিন্তু দুর্ভাগ্য বসত ৩ বছর পরেই হটাৎই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে, তার সুস্থ হবার একমাত্র উপায়
ছিল বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট, তবে এই খরচ সাপেক্ষ চিকিৎসা (৩০ লক্ষ) মাধ্যমের পরিষেবা
গ্রহণ করা তার পরিবারের আওতার বাইরে ছিল। এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমরা
কজন বন্ধুরা এবং আত্মীয়েরা আর্থিক সাহায্য করেছিলাম. কলকাতার এক প্রখ্যাত হাসপাতালে
সে আবার সুস্থ হতে শুরু করে কিন্তু ১৪ই জুলাই হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হয় এবং তার নাক
মুখ থেকে ক্রমাগত রক্ত পড়তে শুরু করে, ডাক্তারদের মতে এর কারণ হল ফুসফুসে "ফাংগাল
ইনফেকশন", এইজন্য তাকে ICU থেকে ভেন্টিলেশনএ পাঠানো হয়। অনুরাগ প্রথম থেকেই একজন ফুটবল প্রেমী ছিল তাই সেবারের ওয়ার্ল্ড
কাপটা সে দেখেছিলো আমার সাথে হাসপাতালে বসে।
সেপ্টেম্বর
মাসে অনুরাগ আমাদের থেকে ছেড়ে চলে যায় শিখিয়ে দিয়ে যায় জীবনের লড়াই কিভাবে লড়তে হয়
।
এর দুই
সপ্তাহ পরেই জানলাম যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেমস পি এলিসন ও জাপানের তাসুকু হঞ্জ
ফিজিওলজি ও মেডিসিনে নোবেল
পুরস্কার পায় , তারা প্রমাণ করতে সক্ষম হয় যে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে পারে শারীরিক
অনাক্রমতাই, সেইজন্য সম্পূর্ন এক নতুন প্রযুক্তির ঔষধ তৈরি হতে চলেছে। এই ওষুধগুলোর
ক্লাস হলো চেকপইন্ট ইনহিবিটরস এর কয়েকটি উদাহরণ হলো ইপিলি মূমাব, নিবলুমাব, পেমব্রলিযুমাব
অনাক্রমতায় আক্সেলারেটরস ও ব্রেক
আমাদের
অনাক্রমতার মূল কাজ হলো নিজ কোষ এবং বহিরাগত কোষের মধ্যে পৃথকীকরণ করা যাতে আক্রমণকারী ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস প্রভৃতিকে ধ্বংস
করতে পারে। শ্বেত রক্তকণিকা এর এক বিশেষ প্রকার
টি কোষ প্রধান ভূমিকা পালন করে । টি কোষের গ্রাহক গুলি বহিরাগতদের শনাক্ত করতে পারে
এবং বিক্রিয়া শুরু করে , কিন্তু টি কোষের এই কাজের জন্য অতিরিক্ত প্রোটিন এর দরকার
যা বিক্রিয়া তরান্বিত করে। অনেক বিজ্ঞানী এই প্রাথমিক গবেষণায় আত্মনিয়োগ করেছে এবং
এমন কয়েক্তি প্রোটিন আবিষ্কার করেন যেগুলো ব্রেক হিসেবে কাজ করে অনাক্রমতাকে বাধা দেয়
। এইভাবে এমন সমন্বয় সাধন হবে যাতে অনক্রমতা কেবল বহিরাগত কোষকেই ধ্বংস করবে কিন্তু
নিজস্ব সুস্থ কোষ এই ধ্বংসের হাত থেকে রেহাই পাবে।
ইমিউন থেরাপির নতুন মূলতত্ত্ব
৯০
এর দশক ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া তে জেমস পি অ্যালিসন টি কোষের প্রোটিন
CTLA 4 নিয়ে গবেষণা করলেন এবং দেখলেন যে CTLA 4 টি কোষের উপর ব্রেক হিসেবে কাজ করে
তখন অন্যান্য বিজ্ঞানীরা এই পদ্ধতিকে অটো ইমিউন ডিসঅর্ডার এ কাজে লাগায়, কিন্তু অ্যালিসন
অন্যভাবে জিনিসটাকে ভেবেছিলেন তিনি এক অ্যান্টিবডি
আবিষ্কার করেছিলেন যেটা CTLA 4 এর সাথে যুক্ত হয়ে এর কাজটাকে বন্ধ করে । CTLA 4 এর কাজ প্রতিরোধ হলে টি কোষকে বাধা দেবার
মত কিছু না থাকায় টি কোষ ক্যান্সার কোষ কে ধ্বংস করতে পারে । অ্যালিসন এবং তার সঙ্গীরা
তাদের প্রথম পরীক্ষা করেছিলেন ১৯৯৪ সালের শেষ দিকে এক ক্যান্সার আক্রান্ত ইদুরের উপর,
দেখা গিয়েছিল ইদুরের অ্যান্টি টিউমার টি কোষ
সক্রিয় হয়ে গিয়েছিল ব্রেকের নিষ্ক্রিয়তায়। এভাবেই ইদুরের শরীরে ক্যান্সার দমন করা
গিয়েছিল। অ্যালিসন এই পদ্ধতি টা মানুষের সার্থে থেরাপি হিসেবে কাজে লাগাতে চেয়েছিল।
২০১০
সালে এটা মানুষের উপর প্রথম প্রয়োগ করা হয়েছিলো যা ত্বক এর ক্যানসারকে প্রতিরোধ করে,
এইরকম অভূতপূর্ব ফল আগে কখনো দেখা যায়নি
PD-1 এর আবিষ্কার এবং ক্যান্সার দমনে গুরুত্ব
১৯৯২
সালে তাসুকু হনযো আবিষ্কার করেছিলেন PD-1 , এটা এমন একটা প্রোটিন যেটি টি কোষের উপরে
থাকে। তিনি কিওত ইউনিভার্সিটিতে অনেক বর্ষ ধরে গবেষণা করে উনি দেখেন যে PD-1 CTLA
4 টি কোষ ব্রেক হিসেবে কাজ করে কিন্তু একটি অন্য পদ্ধতিতে। PD-1 ব্লকেড প্রথমে জন্তুর
উপরে প্রয়োগকরা হয় পরে ২০১২ সালে সেটি মানুষের উপর প্রয়োগ করা হয়। দেখা গেল যে
প্রায় সমস্ত ধরনের ক্যান্সারের বিরূদ্ধে এটি
লড়াই করতে সক্ষম, বিশেষ করে মেটাস্টাটিক ক্যানসারকে প্রতিরোধ করা যেতে পারে যা মেডিক্যাল
সাইন্সে এক অভূতপূর্ব সাফল্য
ইমিউন চেকপয়েন্ট থেরাপি
এই
পদ্ধতি দিয়ে অ্যাডভান্স লেভেলের ক্যান্সার চিকিৎসা করা যায়। কিন্তু এর প্রধান খামতি
হলো এর পার্শপ্রতিক্রিয়া যেটা নিয়ে এখনও কাজ চলছে। তুলনামূলক ভাবে PD-1 বেশি কার্যকরী কারণ লাং ক্যান্সার, রেনাল ক্যান্সার,
লিম্ফোমা, মেলানোমা প্রভৃতি তে সুফল পাওয়া গিয়েছে। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে CTLA 4 এবং
PD-1 এর যৌথ প্রয়োগই বেশি কার্যকরী । এভাবেই হণযো ও অ্যালিসন নিজেদের আবিষ্কারের পর
বাকি বিজ্ঞানীদের অনুপ্রাণিত করছে। একশো বছরের
বেশি সময় ধরে বিজ্ঞানীরা অনাক্রমতা কে ক্যান্সারের বিরূদ্ধে নিয়োগ করার চেষ্টা চালিয়ে
গেছেন । এই দুজনের দৌলতে ক্যান্সার চিকিৎসার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে গেছে
এই
আবিষ্কার অন্তত ১ বছর আগে হলে হয়ত ও আমাদের
ছেড়ে যেতনা।
- Souhardya Patra
Civil Engineering- 3rd Year
Roll. 1758025
Heritage Institute of Technology,
Kolkata.
Sources:
Comments
Post a Comment